কামিনী ফুল ছোট সাদা সুবাসিত ফুল , যাহার ঘ্রানে মন মাতোয়ারা হয়ে যায়। কামিনী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Murraya Paniculata। গরমের সময়ে দু একটি ফুল হলেও বর্ষাকালে গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। এটি Rutaceae পরিবারের একটি ফুল। সামান্য যত্নে গাছ ভর্তি প্রচুর ফুল পাওয়া যায়। কামিনী ঘনিষ্ঠভাবে লেবুবর্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
পরিপূর্ণ পুষ্পিত কামিনী অসংখ্য ফুলের ভারে নুয়ে পড়ে। সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে। কামিনীর অল্পবয়সী গাছ যেমন আছে তেমনি পরিণত গাছও আছে।
কামিনী ফুল গাছ মূলত ক্রান্তীয় এশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার প্রজাতি। চিরসবুজ ছোটখাটো ধরনের গাছ, ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কখনও কখনও গুল্ম আকৃতিরও হতে পারে। যৌগপত্র ১-পক্ষল, পত্রিকা ৫ থেকে ৯টি, সাড়ে তিন সেন্টিমিটার লম্বা ও লেবুগন্ধী। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সারা গাছ সাদা ও সুগন্ধি ফুলের থোকায় ভরে ওঠে। ফুল ২ সেন্টিমিটার চওড়া, ৫টি খোলা পাপড়ি, বাসি হলে ঝরেপড়ে। ফল ছোট ও ডিম্বাকার, পাকলে লাল-কমলা রঙের হয়। কিছুটা বড় আকারের পাতা ও ফুলের থোকার আরেকটি ভারতীয় প্রজাতি আছে।
প্রথাগতভাবে, কামিনী বেদনানাশক হিসেবে ঐতিহ্যগত ঔষধ এবং কাঠের জন্য ব্যবহার করা হয়। কামিনীর পাতার অশোধিত ইথানলীয় সার, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য জ্বলনশীল ব্যথার নিরাময় হিসেবে কাজ করে।
কামিনী গাছের চারা তৈরী করা হয় বা বংশবিস্তার ঘটানো হয় গুটি কলম বা বীজের মাধ্যমে। গুটি কলম থেকে চারা তৈরীর আদর্শ সময় জুলাই থেকে আগষ্ট এবং ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ। এবং বীজ থেকে চারা তৈরীর আদর্শ সময় মার্চ মাস থেকে নভেম্বর।
Reviews
There are no reviews yet.